ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৫:৫৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৮৯ বার
অপরাধ চোখ ডেক্স রিপোর্ট:
অগ্রণী ব্যাংকের কর্মরত বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার রফিক ও অডিট ডিভিশনের অফিসার জাকির একই ব্যাংকের জিএম আবুল বাশারের পিএস আরিফকে হাউজ লোন সংক্রান্ত বিষয়ে তর্ক—বিতর্কের মধ্যে আরিফ—কে অশালীন কথা ও মারপিট করেন। যার প্রেক্ষিতে জাকির ও রফিককে ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট সাময়িক বরখাস্ত করেন। ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নাম প্রকাশ করতে অনুরোধ করে বলেন এই জাকির ও রফিক সিবিএ নেতাদের ছত্রছায়ায় অনেককে হুমকি—ধুমকি এবং সন্ত্রাসী আচরণ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। আবার ব্যাংকের কারও কারও অভিমত প্রিন্সিপাল শাখার জি এম ফজলুল হকের রাজনৈতিক ছোট ভাই। মূলত তারই মদদ বেশী।
জাকির এর মোবাইলের কথপোকথন
এই ফজলুল হকের সাহসেই সাবেক ডিএমডি আনোয়ার সাহেব—কে কিছু দিন পূর্বে জয়নালসহ অন্যান্য নেতাদের নিয়ে রফিক ও জাকির হুমকি, ধূমকী দেন, এরপর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যাংক থেকে এ সময়ের জন্য পালিয়ে যান। অগ্রনী ব্যাংকের,আমিন কোর্ট শাখার কর্মচারীরা বলেন, ফজলুল হক স্যার এই শাখায় যোগদান করার পর থেকে নিজ চেম্বার বন্ধ করে জাকির ও রফিক নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার্সোনাল মিটিং করেছেন। এমনকি ব্যাংকের গ্রাহকদের জিএম এর চেম্বারে ঢুকতে অনুমতি নিতে হয়। এরপর প্রিন্সিপাল শাখায় যোগদান করার পর একই কর্মযোগ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। এমনকি বড় বড় পার্টিদের সঙ্গে জিএম ফজলুল হক খারাপ ব্যবহার করেন এবং বলেন পারলে কিছু করবেন আমরা ছাত্রলীগ করে আসছি। আমার শ^শুর এমপি ছিলেন, বর্তমানে আমার সুমন্ধি আওয়ামী লীগের এমপি। জিএম ফজলুল হকের কমন ডায়লগ। ভাই জানতো আমার মেজাজটা খারাপ আছে। এই যদি হয় একজন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের আচরণ, তাহলে রফিক ও জাকিরের আচরণ কিভাবে ভাল আসা করা যায়। তাই ব্যাংকের সাধারণ কর্ম—কর্তা ও কর্মচারীদের দাবী আরিফ যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে ম্যানেজমেন্টের নিকট অভিযোগ দেওয়া যায়, কিন্তু একজন অফিসারের গায়ে হাত তোলা যথেষ্ট অন্যায়। শুধু রফিক ও জাকিরের বরখাস্ত করলে হবে না, তাদের মদদ দাতাদেরও ব্যাংকিং আইনের নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে দাবি অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা—কর্মচারীদের ।