ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

গুলশানে দুটি বাণিজ্যিক ভবন ‘অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৬ মার্চ, ২০২৪ ১৬:২৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪০ বার


গুলশানে দুটি বাণিজ্যিক ভবন ‘অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা

ঢাকা: অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ এর একটি ছয়তলা ও আরেকটি সাততলা বাণিজ্যিক ভবন ‘অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ওই দুই ভবনে ‘অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার’ টানিয়ে দিয়েছেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন।

 

 

অভিযানে তার সঙ্গে আরও আছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা।

এর আগে দুপুর ১২টায় গুলশান-২ এর ৪৬ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের এই ভবনে থাকা ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

এ ছাড়া একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়।  

আর ৩৪ নম্বর হোল্ডিংয়ে সেভা হাউজের সামনে সিঁড়িতে মালামাল রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।  

এই দুটি ভবনেই অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার টানানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, ৩৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাণিজ্যিক ভবনটিতে অনেকগুলো রেস্তোরাঁ রয়েছে। কিন্তু তার কোনোটিতেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া এই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। নাম দি এইচ হোটেল। কিন্তু অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বের হওয়ার সুযোগ কম। দুই পাসে দুটি সিঁড়িগুলো থাকলেও তা সরু। এমন পরিস্থিতিতে এই হোটেলটি কীভাবে অনুমোদন পেল, তার সব কাগজপত্র আজ বিকেলের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ২টি রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সিলগালা ও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করায় ৮টি রেস্তোরাঁয় মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ডিএসসিসি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখনো ছয়জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।

ওই ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে, বিশেষ করে যেগুলোতে রেস্তোরাঁ রয়েছে সেগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা।


   আরও সংবাদ