ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অবশেষে ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পেরে খুশি জামালপুরের সেই কৃষক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬২ বার


অবশেষে ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পেরে খুশি জামালপুরের সেই কৃষক

জামালপুর: জেলার ইসলামপুরে কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবু সাইদের ক্যাপসিকাম ফসল ডটকম লিমিটেড নামে একটি এগ্রিটেক কোম্পানি কিনে নিয়েছে। ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করা ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পেয়ে খুশি কৃষক পরিবারটি।

 

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকাল থেকে ক্যাপসিকামগুলো সংগ্রহ শুরু করে ফসল ডটকম লিমিটেড নামের কোম্পানিটি।

এর আগে, মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) ইসলামপুর সাপধরী ইউনিয়নের যমুনার চর চেঙ্গানিয়া এলাকায় গিয়ে আবু সাঈদের সঙ্গে ফসল ডটকম লিমিটেডের একটি চুক্তি হয়।

ফসল ডটকম লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা ওই কৃষকের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। এর পরই আমাদের টিম সেখানে গিয়েছে। তার টোটাল প্রোডাক্ট আমরা নিয়েছি। দেশের অনেক কৃষকই বিভিন্নভাবে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করছেন। কিন্তু তারা একবারও ভাবেন না দেশের বাজারে কোন জাতের সবজির বাজার ভালো। এর ফলে ফলন ভালো হলেও ওই জাতের চাহিদা না থাকায় কৃষকের উৎপাদিত সবজির সঠিক দাম পান না। এতে কিন্তু ওই কৃষকই লোকসানে পড়েন। ওই ক্যাপসিকাম চাষিও যা উৎপাদন করেছেন, বাজারে তার চাহিদা কম। কৃষক ভাইদের আরও জেনে শুনে ফসল ফলানো উচিত। এতে তারাই লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ওই কৃষকসহ সব কৃষকেই বলবো তাদের উৎপাদিত যদি কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে না পারেন তাহলে ফসল এর সাথে যোগাযোগ করতে। আমরা তাদের সব প্রোডাক্ট নিয়ে নেব।

উদ্যোক্তা আবু সাঈদ বলেন, জমি থেকে ক্যাপসিকামগুলো আজ বিক্রি করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। ফসল নামে একটি প্রতিষ্ঠান আমার ক্যাপসিকাম কিনে নিয়েছে। গাছে আগে বেশি ক্যাপসিকাম ছিল, সে সময় বিক্রি না করতে পেয়ে অনেক ক্যাপসিকাম নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বিক্রির জায়গা আগে খুঁজে পাইনি। প্রতিটি গাছে তিন চার কেজি করে ফল থাকার কথা ছিল কিন্তু এখন সেটা নেই। এখন প্রতিটি গাছে এক কেজি করে ক্যাপসিকাম আছে।

উল্লেখ্য, মালয়শিয়া থেকে ইউটিউব দেখে দেশে এসে যমুনার দুর্গম চরে ক্যাপসিকাম চাষ করেন আবু সাইদ ও তার ছেলে হৃদয় মিয়া। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে এ অঞ্চলে চাহিদা না থাকায় বিক্রির বাজার না পেয়ে হতাশায় ছিলেন কৃষক পরিবারটি। সঠিক সময়ে বিক্রি না করতে পেয়ে খেতেই নষ্ট হয়েছে অনেক ক্যাপসিকাম।


   আরও সংবাদ