ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১২ বার
বিপিও খাতে কর্মরত ৭০ হাজার জনসম্পদের ৪০ শতাংশই এখন নারী। ২০২৫ সাল নাগাদ এই অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)'। সেই লক্ষ্য নিয়ে শনিবার (৯ মার্চ, ২০২৪) বিকেলে স্বকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আর কেক কেটে “আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪” উদযাপন করলো সংগঠনটি। দুইটি প্যানেল আলোচনা ছাড়াও অনুষ্ঠানে দীর্ঘ সময় আইসিটিতে কর্মরত ১০ নারী কর্মীকে সম্মাননা জানানো হলো নারী দিবসের এই অনুষ্ঠানে।
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে "সেলেব্রেটিং উইম্যানস অ্যাচিভমেন্টস ইন বিপিও" অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে বাক্কো সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আবুল খায়ের বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এমন বাস্তবতায় প্রতিটি নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আজ শুধু প্রয়োজনই নয়, অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত বলেন, সামাজিক সূচকে নারীর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এরইমধ্যে বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। এক্ষেত্রে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দেশের তৃণমূলের নারীরা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট ডেটা অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, পরিবার ও পরিবেশ দুই দিক থেকেই আমি সৌভাগ্যবান। যৌথ পরিবারের সুবিধা নিয়ে আমি আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। তবে প্রত্যেক নারীকেই তার হৃদয় থেকে এগিয়ে যাওয়ার বাসনা থাকতে হবে। ফেমিনিজম মানসিকতাকে নেগিটিভ মনে করা হলেও এটি ইতিবাচক শক্তি।
বাক্কো ইয়্যুথ সাব কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা শওকত এর সঞ্চালনায় এই প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ইউএসএইডের শিক্ষা ও যুব দপ্তরের প্রধান সোনজাই রেনল্ডস কুপার, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক ডয়িন অ্যাডেলে বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে মেয়েদের কাজের ক্ষেত্র ও জীবনধারণের প্রেক্ষাপটে তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডরিন। তিনি বলেন, 'নারীদের মধ্যে শিক্ষা যত বাড়বে তত বেশি তাদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ও জীবনের মানোন্নয়ন ঘটবে।'