ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৫ বার
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে কুপিয়ানস্ক দখল করে নেয় রাশিয়া। পরে ইউক্রেনের বাহিনী তা আবার নিজেদের দখলে নেয়।
আবারো রাশিয়া কুপিয়ানস্ক দখল করে নিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
খারকিভ থেকে দক্ষিণপূর্বে গেলে দেখা যায়, রাস্তার ধারে লেখা, কুপিয়ানস্কি রাই, অর্থাৎ কুপিয়ানস্ক স্বর্গ। আগে এর সঙ্গে জেলা কথাটিও লেখা থাকত। এখন আর নেই। ইউক্রেন আক্রমণের দিনকয়েক পরেই রাশিয়া এই শহর অধিকার করে নেয়। সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন আবার তা দখল করে।
এই শহর হলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ রেল-হাব। শহরে এখন শুধু সামরিক বাহিনী ও তাদের যানবাহন চলাফেরা করছে। মাঠে চাষ হয় না। গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্বর্গ কথাটা শুধু ওই সাইনবোর্ডেই থেকে গেছে। বাস্তবে তার চেহারা বদলে গেছে।
শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই এখন রাশিয়ার সেনা রয়েছে। তাদের গোলা শহরে এসে পড়ছে। তাদের বিমান মাঝেমধ্যেই এখানে হামলা করছে। শহরটি তাদের মর্টারের রেঞ্জের মধ্যে এসে গেছে। দুই দেশের সেনার মধ্যে এখন এখানে তীব্র লড়াই হচ্ছে।
সব মিলিয়ে শহরটি সাত মাস রাশিয়ার দখলে ছিল। এখন ইউক্রেনের সেনার হাতে উপযুক্ত পরিমাণে গোলাবারুদ নেই। ফলে আবার এই শহর রাশিয়া অধিকার করে নিতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।
কুপিয়ানস্ক হাসপাতালের চিকিৎসক তাতিয়ানা। রাশিয়া আক্রমণ তীব্র করার পরও তিনি তার কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, রুশরা যদি এই শহর অধিকার করে, তাহলে আমি পালাব।
তবে আগেরবার রাশিয়া যখন শহরটি দখল করেছিল, তখন তারা সেখানেই ছিলেন।
তখন তাতিয়ানা রুশদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন, তাদের নির্দেশ মানতে চাননি। আহত রুশ সেনার চিকিৎসা করতে চাননি। তাই এবার তাকে দেখলেই রাশিয়ার সেনা গুলি করে মারবে বলে তিনি মনে করেন।
তবে তাতিয়ানা এখনো আশা করছেন, ইউক্রেনের সেনারা কুপিয়ানস্ক দখলে রাখতে পারবে।
অ্যান্ড্রি কুজনিশেঙ্কো নামে এক শিক্ষিকা ঠিক করে নিয়েছেন রুশ সেনা শহর দখল করলে তিনি আর থাকবেন না। তার স্যুটকেস গোছানো আছে।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে