ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৩ বার
সাধারণত ম্যাচসেরা ক্রিকেটারের প্রতিক্রিয়া জানতে মুখিয়ে থাকেন ব্রডকাস্টার। কিন্তু আজ তেমনটা দেখা গেল না।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েই চলে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। রবি শাস্ত্রী তৎক্ষণাত পুরস্কার বিতরণীর ইতি টানেন। কারণটা আর খোলাসা করে না বললেও হয়। ইংরেজি ভাষার প্রতি মোস্তাফিজের জড়তা যে সেই আগের মতোই!
তবে মোস্তাফিজ পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই যা জবাব দেওয়ার দিয়েছেন। বল হাতে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। তবে আইপিএলে ফিরতেই ভিন্ন রূপে দেখা গেল তাকে। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে নতুন আসর শুরু করেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করে বেঙ্গালুরু। এর মধ্যে মোস্তাফিজ একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। ৪ ওভার বোলিং করে ২৯ রান খরচ করেন তিনি। আইপিএলে এর আগে কখনোই এক ম্যাচে ৪ উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার। শুধু তা-ই নয়, এই ম্যাচ দিয়েই স্পর্শ করেছেন আইপিএলে ৫০ উইকেটের মাইলফলক।
মোস্তাফিজ প্রথম বোলিংয়ে আসেন ম্যাচের পঞ্চম ওভারে। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। দারুণ খেলতে থাকা বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে বিদায় করে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই পেসার। বলটির গতি বুঝতে ভুল করে ডিপ মিড উইকেটে উড়িয়ে মারেন ডু প্লেসি, নিচু ক্যাচটি অনেকটা দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র।
প্রথমটির পর দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে মাত্র দুই বল অপেক্ষা করতে হয় মোস্তাফিজকে। দুটি বলে কোনো রানও আসেনি। ওভারের শেষ বলে তিনি বিদায় করেন রজত পাতিদারকে (০)। মোস্তাফিজের লেংথ বুঝতে না পারায় উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দেন রজত।
দ্বিতীয়বার আক্রমণে আসতে দ্বাদশ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় মোস্তাফিজকে। তবে ফিরেই ফের সাফল্য পান মোস্তাফিজ। এবার দ্বিতীয় বলেই তিনি ফেরান বেঙ্গালুরুর ওপেনার বিরাট কোহলিকে। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মারেন তিনি। দৌড়ে এসে ধরার চেষ্টা করলেও ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি রাহানে। তবে তার ছুড়ে দেওয়া বলটি ভালোভাবেই লুফে নেন রবীন্দ্র। কোহলিকে শিকার করে আইপিএলে ৫০তম উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ।
সেই ওভারেরই চতুর্থ বলে মোস্তাফিজ সরাসরি বোল্ড করে ফেরান আরেক সেট ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকে (১৮)। মোস্তাফিজের ছোড়া স্লোয়ার গ্রিনের স্টাম্পে আঘাত করে। বল দিক পরিবর্তন করে গ্রিনের উইকেট কাঁপায়। প্রথম দুই ওভারে ৭ রানেই ৪ উইকেট হয়ে যায় মোস্তাফিজের। এর চেয়ে দারুণ শুরু কী হতে পারে!
কিন্তু পরের দুই ওভারে ২২ রান দেন মোস্তাফিজ। তাতে অবশ্য আগের সফলতা ঢাকা পড়েনি। যা তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।