ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৮ বার
মাদারীপুর: প্রকৃতির রূপের বৈচিত্র্য দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। কালেন্ডারের পাতাতেই আটকে আছে ছয়টি ঋতুর সময়কাল।
বর্তমানে প্রকৃতি দেখে বুঝে উঠতে কষ্ট হয় ঋতুর এই বৈচিত্র্য। শীত পেরিয়ে গেছে অনেকদিন আগে।
এখন ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী চৈত্রের মাঝামাঝি। তবে চৈত্রের আবহ এ কদিনেও প্রকৃতি দেখে পরিপূর্ণভাবে অনুভব করা যায়নি বলে জানান সাধারণ মানুষ।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোর আসে ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে। সকালে বাইরে বের হলে মনে হয় শীতের কুয়াশা!
বৃহস্পতিবার সকালে জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। হালকা বাতাসে ভাসছে শিশিরকণা। তবে শীত নেই। স্বাভাবিক তাপমাত্রা মনে হয়। কুয়াশার ঘনত্ব এতোই বেশি যে সামান্য দূরত্ব নির্ণয়ে বাধা হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও যেন বাড়তে থাকে। জেলার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকাতে কুয়াশার পরিমাণ আরও বেশি। আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চরাঞ্চল ও আশপাশে তীব্র কুয়াশা বিরাজ করছে। সামান্য দূরত্বেও কিছু দেখা যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে পরিবহন। স্থানীয় সড়কগুলোতে থ্রি-হুইলারও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এদিকে কুয়াশার কারণে স্থানীয় বাজারে লোকজনের আনাগোনা কিছুটা কম রয়েছে।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাচালক মো. শাহালম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ভোর থেকেই প্রচুর কুয়াশা পড়েছে। মনে হয় শীতের সকাল! এখন সময়কাল বোঝা যায় না কিছু। শীতের কুয়াশা চৈত্র মাসে। রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না এমন অবস্থা। '
স্থানীয় একাধিক কৃষক বলেন, গতকাল বিকেলের দিকে একটু বৃষ্টি হয়েছিল। রাতে তেমন ঠান্ডাও না আবার গরমও না। সকালবেলা বাইরে এসে দেখি শীতের দিনের মতো কুয়াশা পড়েছে। ক্ষেত শিশিরে বৃষ্টির মতো ভিজে আছে।
ভোরে হাঁটতে বের হওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, পঞ্জিকার পাতাতেই এখন ঋতু-মাস আটকে আছে। ছয় ঋতুর যে বৈচিত্র্য আগে দেখতাম, এখন আর তা দেখা যায় না। বৃষ্টির সময় বৃষ্টি নাই। শীতে শীতকম। চৈত্র মাসে ঘন কুয়াশা! সব মিলিয়ে প্রকৃতি কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন! পাল্টে যাচ্ছে!
চৈত্রের তীব্র গরম এখনো শুরু হয়নি। যদিও চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে এখন। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির দেখা মিললেও তা খুব একটা নয়। রাতে হালকা শীতভাব থাকে প্রায় দিনই। ভোরে পাতলা কম্বল বা কাঁথা গায়ে দিতে হয় গ্রামাঞ্চলে। পবিত্র রমজান মাসে প্রকৃতির এই শীতলভাব রোজাদারদের জন্য বেশ স্বস্তি বলেই জানান সাধারণ মানুষ।