ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ মার্চ, ২০২৪ ১২:১৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৪ বার
১লা এপ্রিল বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা)’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম. এ. হাশেম রাজুর জন্মদিন। ১৯৬৫ ১লা এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার উত্তর হাশিমপুর সৈয়দাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম।
স্কুল জীবনে গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচিত জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এম. এ. হাশেম রাজু। কলেজ জীবনে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় তরুণ লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর বাংলাদেশ ছাত্রদলের আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় গ্রেপ্তার হয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে তিন মাস ১৮ দিন রাজবন্দী হিসেবে কারা অন্তরীন ছিলেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রাম করতে গিয়ে পাঁচবার গ্রেপ্তার হয়ে ১৮ মাস ১৯ দিন কারাভোগ করেন। বর্তমানে তাঁর নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ৫৭টি মামলা রয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের একমাত্র ভাই মোসলেহ উদ্দিন মহসিনকে হারিয়েছেন তিনি।
এম. এ. হাশেম রাজু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য পদ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ—সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুইবার দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিবেশ পরিষদের সদস্য হিসাবে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে খালেদা জিয়া গণতন্ত্র গবেষণা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদ জিয়া শিশু—কিশোর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ঢাকাস্থ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় দুই নেত্রীর মুক্তি দাবি করে জরুরী আইন ভঙ্গের বাংলাদেশ সর্বপ্রথম নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। সর্বদলীয় ছাত্রের ঐকের নেতা ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রের প্রণেতা ছিলেন। আশির দশকে সাংবাদিকতা করেছেন। সাউথ এশিয়ান চিলড্রেন্স ফেডারেশন অব্ বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে দুই মেয়ের পিতা। ছোটবেলায় বাবা মারা যান। গত করোনার সময় মা জননী মারা যান। এম. এ. হাশেম রাজু বাংলাদেশ, ভারত, আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড সহ প্রায় ২৭টি দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন তিনি।