ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৩ বার
কুমিল্লা: কুমিল্লায় মাসুদুল ইসলাম বাবু নামে এক ঠিকাদারকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ সংলগ্ন শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী।
অপরদিকে ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার কর্মী। দীর্ঘদিন এমপি বাহার গ্রুপের নেতারা একচেটিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অফিসে টেন্ডার নিয়ে কাজ করে আসছিল। পরে আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার গ্রুপের নেতারাও কিছু টেন্ডার পান। এরপর থেকে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
ঠিকাদার মাসুদুল জানান, সোমবার দুপুরে তিনি কাজের বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। তার পিছু নেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিন্টু ও তার নেতাকর্মীরা। এসময় ২০-২৫ জনের একটি দল মাসুদকে পেছন থেকে ধরে ফেলে। তারা তাকে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে বেদম মারধর শুরু করে। এসময় কয়েকজন পিস্তল বের করে তার মুখে আঘাত করে এবং টেন্ডারের জন্য এলে হত্যার হুমকি দেয়।
মাসুদুল ইসলাম বাবু জানান, তারা আমাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরেছে। ইয়াছিন, সোহাগ, কালো জালাল আমাকে প্রথম মারা শুরু করে। এসময় কয়েকজন আমার মুখে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে। আমি দিশাহারা হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করি। উনার সামনেই আমাকে আবার মারধর করে। কেউ আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। পরে আমি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি। সেখান থেকে কয়েকজন ধরে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তারা চায় সিন্ডিকেট করে রাখতে। যেন কেউ কাজ না নিতে পারে। তারা আমাকে মারছিল আর বলছিল, তোর এমপি কই? তোরে বাঁচাইতে আসতে বল। আর টেন্ডারের জন্য আসবি? তোদের বহুত সুযোগ দিছি। আর না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।