ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:২২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৪ বার
ঢাকা: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা তাদের জামানত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। এছাড়া ব্যাংকের কার্ড থেকেও জমা দিতে পারবেন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রার্থীদের অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এই নির্বাচন অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষভাগে প্রার্থীকে জামানত প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এতে পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম সিলেক্ট করে পছন্দসই প্রচলিত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জামানত দেওয়া যাবে।
সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে চার ধাপের স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের সময়ও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি, যার মধ্যে দুটি ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিলও দিয়েছে।
প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হবে। চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ বিষয়ে বলেন, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে বলতে পুরোটাই অনলাইনেই দাখিল করতে হবে। জামানতের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। কাজেই সম্পূর্ণ সিস্টেমটাই অনলাইনে হবে।
অনলাইনে মনোনয়ন:
১) www.ecs.gov.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে নোটিশ বোর্ড ‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল’ অথবা onss.ecs.gov.bd তে গিয়ে সরাসরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
২) প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই এবং চেহারা শনাক্তকরণ করা হয়। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে যে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেখানে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রেরণ করা হবে, যা সতর্কতার সাথে সংরক্ষণ করতে হবে।
৩) প্রদত্ত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। ড্যাশবোর্ডের সর্বডানে ‘প্রক্রিয়া’ অংশে ‘এডিট’ বাটনে ক্লিক করে বাঁ পাশের মেনু হতে পর্যায়ক্রমে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর অংশ, প্রার্থী মনোনয়ন, প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি, প্রার্থীর হলফনামা ও প্রার্থীর ফাইল সংযুক্তিকরণ ধাপসমূহ এবং জামানত প্রদান সম্পন্ন করতে হবে।
৪) চেহারা শনাক্তকরণ ও অনলাইনে জামানত প্রদানের বিষয়টির অন্তর্ভুক্তি ব্যতিরেকে প্রায় সকল প্রক্রিয়াটিই ম্যানুয়াল/পূর্বতন পদ্ধতিতে হার্ডকপি ফরমের অনুরূপ। চূড়ান্তভাবে দাখিল করার আগে পূরণকৃত মনোনয়ন পত্র বার বার পরীক্ষা করে প্রয়োজনে এডিট করতে হবে, সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে মোবাইলে বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
৫) রিটার্নিং কর্মকর্তা অনলাইনে আবেদনকৃত প্রার্থীর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার, নিশ্চিতকরণ, যাচাই/বাছাই, আপিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিতপূর্বক যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করবেন। প্রদত্ত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগ ইন করে প্রার্থী যেকোনো সময় তার দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের আপডেট জানতে পারবেন। পাশাপাশি মোবাইলে বার্তা প্রাপ্ত হবেন।
৬) নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রার্থীর সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন ধাপে যাচিত এনআইডি নম্বর প্রদান করলে সেটির বিপরীতে সংরক্ষিত তথ্যাদি প্রদর্শিত হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরা চালু হয়ে প্রার্থীর ছবি ধারণ করা হয়। ধারণকৃত ছবির সাথে ভোটার তালিকা ডেটাবেইজে সংরক্ষিত উক্ত ব্যক্তির ছবির সাথে মিলিয়ে Face Recognition System (FRS) এর মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। একই পদ্ধতিতে নির্বাচনে প্রার্থীর প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারীর পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যতীত কোনো অবস্থাতেই সিস্টেমটি ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীদের সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফেসবুক পেজ Bangladesh Election Commission Secretariat এবং https://youtu.be/hcImF47SkO8?si=eloeoZ1rI_liBs_G। লিংকে পাওয়া যাবে।