ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮০ বার
বগুড়া: বগুড়ায় মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে দলবল নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ৷ এ ঘটনায় তাকেসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷
শনিবার (০৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে ৷
আটক নুরুজ্জামান বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাহজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ৷ বাকিরা তার অনুসারী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিঠুন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। মিঠুন আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নামে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলমান।
এদিকে এ ঘটনায় পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ২০-২২টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৪০ জন আসামি (মিঠুনকে) ছিনিয়ে নিতে শাজাহানপুর থানায় প্রবেশ করে ও তাণ্ডব চালাতে থাকে। পরে টহলরত অবস্থায় থাকাকালীন খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক থানায় আসেন। এ সময় সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সিঁড়িতে বসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। ওসি শহিদুল ইসলাম তাদের সরে দাঁড়াতে বললে ওসিকে ধাক্কা দিয়ে নুরুজ্জামান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অন্যান্য পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর নুরুজ্জামান তার দলবল নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীকালে নুরুজ্জামান আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও থানায় হামলা করতে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের মাঝিড়াস্থ বন্দরের কাছে অবস্থান নেয়। এসময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানসহ তার সহযোগী পাঁচজনকে আটক করে।
নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার বা দরপত্র চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দরখাস্তও হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় প্রবেশ করে পুলিশ সদস্যদের আহত করে ও পুলিশ হেফাজত থাকা আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় নুরুজ্জামানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। হামলা ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।