ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৪৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৫ বার
ঢাকা: বাংলাদেশে গরুর মাংস, গমসহ কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ব্রাজিলে ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
সোমবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনার এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং অনুষ্ঠানে এ বিষয় উঠে আসে।
বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো, সম্ভাব্য খাতসমূহ চিহ্নিতকরণ, বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, বাণিজ্য লেনদেনের সহজতর উপায় অনুসন্ধান, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশে এই সেমিনার ও বিটুবি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ব্রাজিলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চলমান। দেশটি থেকে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের কাঁচামাল তুলা আমদানি করা হয়। এছাড়া চিনিসহ বহু পণ্যের বাণিজ্য রয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আমি মনে করি, আগামীতে বাংলাদেশে ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বাজারও ধরতে পারবে। তাই আমি ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানাই।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা বলেন, বিগত দশকে বাংলাদেশে লজিস্টিকস, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের সুযোগকে উন্মোচিত করেছে। ব্রাজিল ও বাংলাদেশের পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই।
তিনি উল্লেখ করেন, ব্রাজিল বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি করে থাকে। যেটি বাংলাদেশ ও ব্রাজিল উভয়ের জন্যই একটি ইতিবাচক বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশ ও ব্রাজিলে মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হলো তৈরি পোশাক। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, গুণগত মানের তুলা উৎপাদনের জন্য ব্রাজিল বিশ্বনন্দিত। সুতরাং বস্ত্রখাতে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা বিপুল। একইভাবে, ব্রাজিলের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো অনেক বড় এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী ওষুধ শিল্পের সমন্বয়ে দেশ দুটি সাশ্রয়ী ও গুণগত স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ পেতে পারে। এছাড়া কৃষিতে ব্রাজিলে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পাশাপাশি বিশ্বের বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ব্রাজিলের সমর্থন ও সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাহবুবুল আলম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিবিসিসিআই পরিচালক, সরকারি কর্মকর্তারা।