ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:২৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩৯ বার
ঢাকা: ছিনতাই-হামলার ঘটনার পর এলাকা কার এ নিয়ে ‘দায়সারা’ বক্তব্যের পর অবশেষে রাজধানীর কারওয়ানবাজার রেলক্রসিং এলাকায় সম্মিলিত অভিযান চালিয়েছে তিন থানা পুলিশ।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুর থেকে ডিএমপির তেজগাঁও মডেল থানা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ও হাতিরঝিল থানা পুলিশের সম্মিলিত এ অভিযানে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বাংলানিউজকে জানান, কারওয়ানবাজার রেলক্রসিং এলাকায় তিন থানা পুলিশ সদস্যদের সম্মিলিত অভিযানে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার পর এলাকা নিয়ে তিন থানার একে অপরের ওপর দায় চাপানোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং এলাকায় ৭১ টিভির গাড়ি টার্গেট করে হামলা করে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল। এ সময় লুট করা হয় নগদ টাকা, মোবাইল, ঈদ উপলক্ষে পরিবারের কেনাকাটার পোশাকসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। বাধা দেওয়ায় ও ক্যামেরায় ছবি তোলার চেষ্টা করায় রেললাইন থেকে পাথর নিক্ষেপ করে ছিনতাইকারীরা। হামলায় ৭১ টেলিভিশনের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ পাথরের আঘাতে আহত হন রিপোর্টার ইশতিয়াক ইমন। ঘটনার পর খবর পেয়ে তিন থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে চলে যান। তারা তাৎক্ষণিকভাবে দাবি করেন ‘ঘটনাস্থল আমাদের এলাকা নয়’।
ছিনতাই ও ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার রিপোর্টার ইশতিয়াক ইমন জানান, বুধবার রাত সোয়া দুইটার দিকে ৭১ টিভির গাড়ি বারিধারা অফিস থেকে দুইজন ভিডিও এডিরটকে ধানমন্ডি নামিয়ে দিতে যাচ্ছিল। রাত আড়াইটার পরপর কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়ালে ৭১ টিভির গাড়িচালক মাহবুবের গলায় ক্ষুর ঠেকিয়ে তার মানিব্যাগ নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হামলা করেন ছিনতাইকারীরা।
তিনি জানান, তিনি নাইট ডিউটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে ক্যামেরাম্যানসহ ঘটনাস্থলে গেলে ছিনতাইকারীরা সংঘবদ্ধভাবে ইট পাথর নিক্ষেপ করেন। ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে জিম্মি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় উপর্যুপরি কিল ঘুষি মেরে যখম করে তাকে।
হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতার জন্য গেলে সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা টাকা ও ঈদের জন্য সদ্য কেনা পোশাক ছিনতাইকারীরা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিন থানার পুলিশ এসে একে অন্যের এলাকা বলে নিজেদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় তিন থানার পুলিশ।
ইমন আরও বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে তেজগাঁও থানা পুলিশ আসে। তারা এসে জানায় এটা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এলাকার অধীনে। আর শিল্পাঞ্চল থানা এসে বলে এটা হাতিরঝিলে পড়েছে। আর হাতিরঝিল থানা পুলিশ সদস্যরা এসে জানায় এটা তাদের এলাকা নয়।