ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৫৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৫ বার
গত সপ্তাহের সোমবার (১ এপ্রিল) সিরিয়ার দামেস্কতে ইসরাইলি হামলায় ইরানের কয়েক জন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান চলতি সপ্তাহেই ঐ অঞ্চলে মার্কিন ও ইসরাইলি সম্পদের ওপর আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল ইসরায়েল থেকে দূরে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তেহরান।
তবে ইরানের সেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইরান হামলা করলে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র - এমন বার্তা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে পাশে নিয়ে বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তেহরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, দশ দিন আগে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পর তেহরান ‘ব্যাপক আক্রমণের’ হুমকি দিচ্ছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, সেটাই করব।
বাইডেন আরও বলেন, ‘যেমনটা আমি নেতানিয়াহুকে বলেছি, ইরান এবং এর প্রক্সি বাহিনীগুলোর হুমকি থেকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি লোহার আবরণের মতো দৃঢ়। আমি আবারও বলছি, লোহার আবরণের মতো দৃঢ়। ’
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে লম্বা সময় ধরে আসন্ন ইরানি হামলা সম্পর্কে আলোচনা করেন জো বাইডেন।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ঠিক কখন ও কীভাবে ইরান পালটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ’
বাইডেন প্রশাসন মনে করছে, ইরান কর্তৃক ইসরাইলের ওপর সরাসরি হামলা ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দেবে। কারণ এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অবস্থা আরো মারাত্মক রূপ ধারণ করবে। এই মুহূর্তে ইরানের আক্রমণ ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে বৃহত্তর ও আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত করতে পারে—যা বাইডেন দীর্ঘদিন ধরে এড়াতে চেয়েছিলেন।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় ইরানের সিনিয়র সামরিক নেতাসহ ১৩ জন নিহত হন। ইসরায়েল অবশ্য সেই হামলার দায় স্বীকার করেনি।