ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বাগেরহাটে দুপক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৪ বার


বাগেরহাটে দুপক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন খান (৬৬)।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)  দুপুরে উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় সংঘর্ষে আহত হন তিনি।

পরে তাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোজাফফর হোসেন খান কাননচক গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

 

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তানভীর আহম্মেদ মাটি বলেন, হিজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাননচক গ্রামের সজিব খান নামের এক যুবককে তুলে নিতে আসেন হিজলা এলাকার কাজী শাহেদসহ কয়েকজন। এ সময় কাননচক গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজী শাহেদসহ তুলে নিতে আসা লোকজনকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে কাজী শাহেদের নেতৃত্বে তারা হিজলা এলাকায় ফিরে যান।  

এরপর হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজীর নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশ জন লোক কাননচক গ্রামে আসেন। তখন কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখের নেতৃত্বে কাননচক এলাকার লোকজন এক হয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হলে কয়েকজন আহত হয়। এই সময় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর খানকে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোজাফফর হোসেন খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভা হয়।

এদিকে খবর শুনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

নিহতের জামাতা স্বাধীন শেখ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে।

কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখ বলেন, হিজলার লোকজন ঝামেলা করার জন্য ঢাল-শর্কি নিয়ে এসেছিল। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। আমি উত্তেজনা থেমে যাওয়ার পরে আসছি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজী ও হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীনের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।

চিতলমারী থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে। পরে দুই পক্ষ যার যার স্থানে চলে যাওয়ার সময়, এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিকে চড় থাপ্পর মারা হয়েছিল। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


   আরও সংবাদ