ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২৩ বার
নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে পর্যটকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তসলিম হুসাইনের বিরুদ্ধে।
ঈদের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুছাপুর পর্যটনকেন্দ্র রেগুলেটর সড়কে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
তবে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিওক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ভাইরাল।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন - আলী আজগর (৩৬), তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুক (৩১) ও আজগরের স্ত্রীসহ (২৭) বেশ কয়েকজন।
আহতরা সবাই নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আলী আজগর অভিযোগ করে বলেন, ঈদে স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাই ওমর ফারুক ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে যাই। ঘোরাঘুরি শেণে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই মোটরসাইকেলে আমার স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। কিছু পথ আসার পর বিপরীত দিক থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গাড়ি থেকে একজন (সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন) একটি লাঠি নিয়ে নেমে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এসময় আমি উনাকে গালাগালি করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।
আলী আজগরের খারাপ আচরণের কারণে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইনের।
তবে কাউকে মারেননি দাবি করে তিনি বলেন, সড়কের জ্যাম থাকায় আমি প্রথমে গাড়ি থেকে নেমে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। বিষয়টি অভিযোগকারীর সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হয়েছে।