আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:২১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৯ বার
তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই অচল হয়ে পড়েছে। মরুর দেশে দেখা দিয়েছে বন্যা। দুবাই মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসার নগরী হিসেবে পরিচিত।
রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে বা উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। বন্যার পানিতে সড়কে গাড়ি আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে পানি জমে যাওয়ায় ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে এবং বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। আমরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের কাজকর্ম শুরুর চেষ্টা করছি।’
দুবাই বিমানবন্দরগামী বা বিমানবন্দর ত্যাগের অপেক্ষায় থাকা পাঁচ শর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ বুধবার আরও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত থেকে দুবাইগামী প্রায় ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবার দুবাই থেকে ভারতমুখী ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ কোম্পানি এমিরেটাস জানিয়েছে, দুবাইয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের সব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন বন্ধ রাখা হয়েছে।
উড়োজাহাজ কোম্পানিটি জানায়, এমিরেটাস কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের সময়সূচি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীরা ফ্লাইটের অপেক্ষায়। ১৭ এপ্রিল
ছবি: এএফপি
দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান দুবাই মল ও মল অব দ্য এমিরেটাস বন্যায় বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। গোঁড়ালিসমান পানিতে ডুবে আছে মেট্রোস্টেশন।
কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু রুটে মেট্রো চলাচল অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্টেশনগুলোর লাল ও সবুজ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।
বৃষ্টি আর ঝড়ের প্রভাব পড়েছে দুবাইয়ের বাইরেও। পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও প্রতিবেশী বাইরাইনে বন্যার প্রভাব পড়েছে। সেখানেও বন্যায় জনজীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ আরও ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনে বাসা থেকে কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওমান হয়ে ঝড়বৃষ্টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনে আঘাত হেনেছে। ওমানে শিশুসহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ১৯৪৯ সালে রেকর্ড রাখার পর থেকে এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭১ সালে ইউএই গঠন করার পর এটাই বৃষ্টির সর্বোচ্চ রেকর্ড।
আবহাওয়া দপ্তর দেশের সব নাগরিককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তাঁদের বন্যাদুর্গত ও জলাবদ্ধ এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।