ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৩ বার
পাবনা: প্রচণ্ড গরমে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে দেশের খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রা।
১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর এটাই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
প্রচণ্ড গরমের কারণে ডায়রিয়া ও গরম-ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন সব বয়সের রোগীরা। পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে প্রায় একশ জন। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে মোট ৫৩৩ জন। যা গতকাল ছিল ৪৪৫ জনের মত। এর মধ্যে ৩৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ১২৩ জন আর ১৬ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ৫৪ জন।
শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে শয্যা সংকটে কষ্ট করে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন সেবাগ্রহীতারা। তবে হাসপাতালের নানা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে রোগীর স্বজনদের। বিশেষ করে ওয়ার্ডগুলোর টয়লেট ও ওয়াশরুমের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ বলে জানান তারা। তবে স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকায় ওয়াশরুম ভালো থাকছে না বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তবে এই বৈরী আবহাওয়া জনিত সমস্যা মোকাবিলায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান সহকারী পরিচালক।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে দিনমজুর শ্রমজীবীরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। একদিন কাজ করলে দুইদিন বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। দিনের বেলায় খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। বাইরে বের হলেও ক্যাপ অথবা ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন। চলতি বছরে গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।
গত এক সপ্তাহ ধরে জেলাতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে শুরু করে ৩৯, ৩৯.৯। আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা তীব্র তাপদাহ বলা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম থেকে একটু প্রশান্তির জন্য মানুষ ডাবের পানি, স্যালাইন ও খাবার পানি খাচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. রফিকুল হোসেন বলেন, এই গরমে সবাইকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে সেটি অবশ্যই উন্মুক্ত খোলা স্থানের পানি নয়। সাধারণ মানুষ যত্রতত্র স্থান থেকে পানি খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তাই সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে ভালো পানি পান করাসহ স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে খুব প্রয়োজন না হলে কাজ না থাকলে রোদের মধ্যে বের না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।