ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৩ বার
মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে থাকবেন নাকি তার দেশে ফেরা উচিত- এ নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন মোস্তাফিজ।
তবে পহেলা মের পর দেশে ফিরে আসতে হবে তাকে।
তার এই ফেরা নিয়ে দুদিন দুই রকমের মন্তব্য করেছেন বিসিবির দুই পরিচালক আকরাম খান ও জালাল ইউনুস। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালালের ভাষ্য, এখন আর আইপিএল থেকে শেখার কিছু নেই মোস্তাফিজের। আকরামের বিশ্বাস, আইপিএলে থাকলেই ভালো হতো মোস্তাফিজের। বৃহস্পতিবার মিরপুরে এ নিয়ে কথা বলেন বোর্ডের আরেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ‘কঠিন প্রশ্ন। উত্তর দেওয়া কঠিন। দেশ তো সবার আগে। সবসময়ই বলি এটা। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে আনন্দের কিছু নেই। তবে পরিস্থিতি কী চায়, উনারা (জালাল ইউনুস, আকরাম খান) কীভাবে চিন্তা করেছেন... আমি এখন জাতীয় দলের সেট-আপে নেই বলতে গেলে। অপারেশন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান থাকলেও, আমি সেভাবে মিটিংগুলোয় যাচ্ছি না আবাহনীর খেলার কারণে। ’
‘আমি জানিই না আসলে। তো আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। নিশ্চিতভাবেই জালাল ভাই একটা চিন্তা থেকেই মন্তব্যটা করেছেন। আমি মনে করি, চেয়ারম্যান হিসেবে উনি ক্রিকেট অপারেশন্সের অভিভাবক। উনি যেটা বলেছেন, আমাকে সেটাই মানতে হবে যে, উনার কথাই ঠিক। এটাই আমার ধরে নিয়ে যেতে হবে। ’
জালাল ইউনুস আগের দিন বলেছিলেন, মোস্তাফিজের কাছ থেকেই শেখার আছে আইপিএল খেলা অনেক ক্রিকেটারের। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তবে জালাল ইউনুসের ওই মন্তব্যের ভিন্ন প্রেক্ষাপটও দেখিয়েছেন সুজন।
তিনি বলেন, ‘শেখার সবখানেই আছে। প্রিমিয়ার লিগেও শেখার আছে। আজকের একটা সিনারিও শেখার হতে পারে। সেটা নিয়ে সংশয় নেই। হয়তোবা উনি এটা সেভাবে বোঝাননি। উনি বলেছেন, মোস্তাফিজ এত বছর ধরে ওখানে খেলছে। আর সে তো এখন আর তানজিম সাকিবের মতো না। ও এখন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজ এখন অনেক বড় নাম বিশ্ব ক্রিকেটে। ’
‘হয়তো জালাল ভাই ওই অ্যাঙ্গেল থেকেই বলেছেন যে, মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা যেটা আছে, ভারতের তরুণ পেসাররা ওর থেকে কাটার বা এরকম জিনিস শিখতে পারে। উনি কথাটা এটাই বলেছেন। এটাকে অন্য কিছু মিন করা ঠিক হবে না। দিন শেষে আমি মনে করি, দেশ সবার আগে। এটা মাথায় রাখতে হবে। মোস্তাফিজ যদি আইপিএল খেলতে পারত, আমিও খুশি হতাম। দেশের খেলা না থাকলে হয়তো সমস্যা হতো না। অনেকে হয়তো বলবে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলছে। কিন্তু আমাদের তো দশটা মোস্তাফিজ নেই। এটাও চিন্তা করতে হবে। ’
আইপিএলে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ক্রিকেটার সুযোগ পায় বাংলাদেশের। সুযোগ পাওয়া ওই দুয়েকজন ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়েও নানা ধরনের টাল-বাহানা করে বিসিবি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে খেলতে ক্রিকেটারদের কি আরেকটু বেশি ছাড় দেওয়া দরকার?
সুজনের উত্তর, ‘আইপিএল যেই স্ট্যান্ডার্ডে গেছে, সেটা (ক্রিকেটারদের আরও বেশি ছাড় দেওয়া)। তবে যেটা বললাম, অনেক সময় দেশ আগে চলে আসে। এটা মানতেই হবে। তবে আমি যেটা বললাম, আপনি যদি এখন ভারতের কথা বলেন। তাদের এখন অনেক ক্রিকেটার আছে। মূল দলের বদলে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে সিরিজ খেললেও তারা জিততে পারে। আমাদের তো ওরকম নেই বেঞ্চ। যেমন এখন ওপেনিংয়ে অনেকেই ব্যাটিং করছে। ’
‘কিন্তু আমাদের পরবর্তী টেস্ট ওপেনার কে কে আছে জিজ্ঞেস করলে, আপনি কিন্তু হঠাৎ করে আটকে যাবেন। এটা সহজ নয় বলা। ভারতের কিন্তু ওরা ১০-১২টা নাম বলে দেবে খুব সহজে। আমার মনে হয়, এগুলো চিন্তা করা উচিত যে, সিদ্ধান্তগুলো কেন নেওয়া হচ্ছে। সব কিছু যে আমাদেরও জানতে হবে, তাও ঠিক নয়। সিদ্ধান্ত যখন হয়... এত টাকা দিয়ে হেড কোচ আছেন, তার সঙ্গে সহকারী কোচরা আছেন, ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আছেন, নির্বাচক আছেন... তারা অবশ্যই চিন্তা করছেন, কোনটা ভালো দেশের জন্য, কোনটা ভালো নয়। তাদের সিদ্ধান্তগুলোকে সম্মান করা উচিত। আমি এটাই বলতে চাই। ’