ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৫৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৭ বার
ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এমনটি বলার পর তেহরান তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করে।
শুক্রবার ইস্পাহান ও তাবরিজ শহরের আকাশে বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবরে বলা হয়।
তবে ইরান সরকার তা অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।
বেশ কয়েকটি দেশ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার দেশ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে দেশটি বলে, তারা অঞ্চলে বারবার ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ অঞ্চলে সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা প্রসারিত করার পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে মিশর।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে যেন দুইপক্ষই বিরত থাকে। এক বিবৃতিতে এটি বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরএআইকে বলেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এড়াতে আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এটি চলমান পরিস্থিতি। পুরো ঘটনা সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়ার আগে কিছু বলা ঠিক হবে না। মিত্রদের সঙ্গে মিলে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এড়াতে উভয়পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে দুই পক্ষকে উত্তেজনা থেকে দূরে রাখতে আমাদের সবকিছু করতে হবে। অঞ্চলটি স্থিতিশীল থাকা এবং সব পক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ নিশ্চিত করেছে যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি চূড়ান্ত সংযমের আহ্বান জানান এবং বলেন, সামরিক সংঘাতে পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষবস্তু হওয়া উচিত নয়। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আইএইএ পরিস্থিতি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাঙ্কে ব্রুইনস স্লট বলেন, ইরানে পরিস্থিতি নেদারল্যান্ডস কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। মধ্যপ্রাচ্যে সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা গভীর উদ্বেগের।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, চীন প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছে এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, প্রত্যেককেই এখন নিশ্চিত করতে হবে, অদূর ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে যেন আর আর কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
ক্রেমলিন বলেছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলার তথ্য বিশ্লেষণ করছে রাশিয়া। উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
এ ছাড়া জাপান, সুইডেন, কানাডা ফ্রান্সও উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।