ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015
ধামইরহাটে আলোকিত সীমান্ত গঠনে 'বিজিবি-বিএসএফ'-এর এক ব্যতিক্রমী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

বিজিবি-বিএসএফ'-এর এক ব্যতিক্রমী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬৩ বার


বিজিবি-বিএসএফ'-এর এক ব্যতিক্রমী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

,ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

 

নওগাঁর ধামইরহাটে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং মাদক/চোরাচালানমুক্ত আলোকিত সীমান্ত বিনির্মাণে বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে নওগাঁ সীমান্তে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ 'পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি)'-এর।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নওগাঁর ধামইরহাটের খয়েরবাড়ি গ্রামের খয়েরবাড়ি মাঠে 'আলোকিত গ্রাম, আলোকিত মানুষ, আলোকিত সীমান্ত' এই প্রতিপাদ্যে বিজিবির আমন্ত্রণে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

বৈঠকে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ'-এর পক্ষে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি, অধিনায়ক, পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি)। অপরদিকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শুকভীর ধাংগার কমান্ড্যান্ট, ১৩৭ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ, পতিরাম, ভারত।

 

বৈঠকে বক্তারা বলেন, "ধামইরহাট সীমান্তের অধিক চোরাচালানপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ভারতের ভুলকিপুর এবং বাংলাদেশের খয়েরবাড়ি। সীমান্তবর্তী গ্রাম দুটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক পাচারকারী এবং চোরাকারবারীদের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। বিজিবি এবং বিএসএফ ক্যাম্প হতে সীমান্তবর্তী এই গ্রাম দুটি কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ায় এবং সীমান্তে এই অংশে ভারতের কাটাতারের বেড়া না থাকায় মাদক পাচার এবং চোরাচালানের রুট হিসেবে দুষ্কৃতকারীরা এই এলাকাকে ব্যবহার করে আসছে।"

 

বৈঠকে গ্রাম দুটিকে মাদক এবং চোরাচালান মুক্ত করতে বিজিবি-বিএসএফ এর অধিনায়ক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এই এলাকাকে মাদক ও চোরাচালানমুক্ত করার কৌশল নির্ধারণ এবং সে বিষয়ে সহযোগিতার ভিত্তিতে কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করার ব্যাপারে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ১ নাম্বার ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম, উমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক সরকার, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বারবৃন্দ ও দুই দেশের সাধারণ জনগণ।

 

বৈঠক শেষে বিজিবি-বিএসএফ এর সমন্বয়ে উভয় দেশের জনগণকে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার বৃহত্তর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উভয় দেশের বিজিবি ও বিএসএফ সদস্য, সাধারণ জনগণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয় এবং তাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার ও উপহার বিতরণ করা হয়।

 


   আরও সংবাদ