ঢাকা, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তীব্র গরমের ছুটিতে নির্বাচনী পরীক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৩ বার


সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তীব্র গরমের ছুটিতে নির্বাচনী পরীক্ষা

নরসিংদী: তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী জেলার মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

রোববার (২১ এপ্রিল) কলেজটিতে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তীব্র গরমে সারাদেশে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে সেখানে মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নিচ্ছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম চলছে দেশের সব অঞ্চলেই। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় দেশব্যাপী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তিন দিনের হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের দাবির মুখে স্কুলকলেজের ছুটি আরও সাত দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেইল করিয়ে দেওয়ার ভয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।  

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরম এবং বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাও একদিনে দুটি পরীক্ষা নেওয়ায় দুপুরে খাবারের সুযোগ পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ঘনিয়ে এসেছে। দ্বাদশ শ্রেণির দুইটি পরীক্ষা বাকি থাকায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে কলেজ বন্ধ থাকবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেওয়ার আগে মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবেচনা করা দরকার ছিল।


   আরও সংবাদ