ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৮ বার
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ দুর্বৃত্তদের ছোড়া বোমা হামলায় মাসুদ শেখ (৪০) ও তার ছেলে আব্দুল রাশেদ শেখ (৪) আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া মাসুদ শেখের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত মাসুদ শেখ ওই গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে মাসুদ শেখ ছেলে আব্দুল রাশেদ শেখকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পরে বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে ঘরের দরজা খোলার সময় পাঁচ থেকে ছয়জন লোক তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে গুরুতর আহত হন।
বোমার বিস্ফোরণ শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আহত মাসুদ শেখের ভাবি ফরিদা বেগম বলেন, আমরা ঘরে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় লোডশেডিং চলছিল। তখন বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে দৌড়ে বের হই। এসে দেখি মাসুদ ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে আছে। পাশে তার মোটরসাইকেল পড়ে আছে। মোটরসাইকেল থেকেও আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ঘরের দরজায় বড় ছিদ্র হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গাজী মো. আশিকুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে আব্দুল রাশেদকে নিয়ে আসে। মাসুদ শেখের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। বাম পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে এবং হাড় ভেঙে গেছে। পেটে বড় ইনজুরি রয়েছে। আমাদের ধারণা তার পেটের মধ্যে কিছু রয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে তাকে অপারেশন করিয়ে পেট থেকে সেটা বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাসুদের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ছেলের শরীর ২৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। মাসুদের অবস্থা আশংকাজনক। তবে ছেলে আব্দুল রাশেদ শংকামুক্ত। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মাসুদ শেখ তার ছেলেকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় কে বা কারা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে। এতে বাবা-ছেলে আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দনসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়া গোপালগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে।
তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।