ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ মে, ২০২৪ ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২১ বার
ঢাকা: দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ বুধবার (১ মে) রাত থেকে প্রশমিত হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহ কেটে যাওয়ার কোনো আভাস নেই।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের অপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে ও দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বিরাজমান অপপ্রবাহের তীব্রতা হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচদিনে সারা দেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তারলাভ করতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে।
মঙ্গলবার ঢাকায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
চলতি বছর টানা ৩১ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। তবে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার আভাস দেখছে আবহাওয়া অফিস।