ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ মে, ২০২৪ ১১:৫১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৯ বার
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগের চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ তিনজন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য আনসার সদস্য থাকবেন অন্তত ১০ জন।
তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
সিনিয়র এই সচিব জানান, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য ভোটের দুদিন আগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোটের পরে আরও দুদিন তারা থাকবেন।
সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এটি গঠিত হবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতিবছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় সেল
সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, তা একটি টিম তদারক করবে।