ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বনাম বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৭ মে, ২০২৪ ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৪ বার


প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বনাম বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি

 

নওগাঁর ধামইরহাটে প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাহার আলীর (আনারস প্রতীক) প্রধান বাঁধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাগল দেওয়ান ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আ ন ম আফজাল হোসেন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ।

 

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। ওই দুইজন ছাড়া অন্য প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলী (ঘোড়া প্রতীক)। এই ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সকলেই আওয়ামীলীগের নেতা। 

 

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (উড়োজাহাজ প্রতীক), উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম (টিয়া পাখি প্রতীক) এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক সাবিনা এক্কা (কলস প্রতীক), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আনজুয়ারা বেগম (হাঁস প্রতীক)।

 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নির্বাচনকে সামনে রেখে পাড়ায় মহল্লায় ও চায়ের টেবিলে নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের আলোচনা ও সমালোচনায় মুখর রাজনীতির মাঠ। কেউ কেউ সাবেক চেয়ারম্যানে সন্তুষ্ট থাকলেও ভোটের মাঠে ও ময়দানে নতুনদের চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভোটারদের মুখে মুখে আলোচনায় মুখরিত হতে দেখা গেছে।

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান আজাহারকে টপকিয়ে নতুন মুখ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাগল দেওয়ান ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আ ন ম আফজাল হোসেনের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন উপজেলার সাধারণ ভোটারেরা। উন্নয়নের ফিরিস্তি জানান দিয়ে প্রচার-প্রচারণায় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিনরাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। 

 

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৯ হাজার ৬২৬ জন, মহিলা ৭৯ হাজার ৬১৮ ও তৃতীয় লিঙ্গের ২ জন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮০৮ জন। এবং ৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৬৩ ও অস্থায়ী ৪১টি। 

 

উপজেলা আওয়ামিলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজালকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবং ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্যের পদ থেকে ওসমান আলীকে (ঘোড়া প্রতীক) বহিষ্কার করা হলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশনায় তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ না থাকলেও তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের নেতা বলে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবেন।

 

চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল বলেন, শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও কৃষকদের জনসম্পদে রূপান্তরিত করে ধামইরহাট উপজেলাকে একটি আধুনিক জনবন্ধব ও ডিজিটাল উপজেলা পরিষদ তৈরি করতে চান। একারণে দল মত নির্বিশেষে সাধারণ ভোটারদের বিপুল ভোটে কাপ পিরিচ প্রতীক অবিস্মরণীয় ভোটে বিজয়ী হবে বলে জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনিছার রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আশি ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহারের (আনারস প্রতীক) বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। এবং তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

 


   আরও সংবাদ