ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সড়ক দুর্ঘটনায় আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৪ ১৬:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৫ বার


সড়ক দুর্ঘটনায় আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমিও সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। আমার অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল আমি এটা হবো, সেটা হবো।

কিন্তু রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান রাব্বুল আলামিন এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তবে রাজনীতির রাস্তাটা বোধহয় ওপেন করে রেখেছিলেন।

 

শনিবার (১১ মে) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ১০ম মহাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী সে সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।

নিসচার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে মন্ত্রী বলেন, দেশে ২০২৩ সালে পাঁচ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪ জন। এটা বেশ উল্লেখযোগ্য একটা সংখ্যা। সড়ক দুর্ঘটনা এখন দেশে জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে সার্বিক পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন সংগঠন ও নিসচার দাবির ফলে সরকার ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে ও পালন করে আসছে।  

মন্ত্রী বলেন, সড়ক আইন সংসদে পাশের কাছাকাছি চলে আসছে। এখানে চালক, সহযোগী, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের এজেন্সি সবারই তাদের দায়িত্বটা যথারীতিভাবে বিশ্লেষণ হয়েছে। কার দায় কত, কার কত শাস্তি হবে সেটা বলা হয়েছে।

শহরে ২৫ ভাগ সড়ক থাকা লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোনো শহরে তা নেই। এরজন্য উড়ালসড়ক, ফ্লাইওভার হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ছয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন। আমরা জেনেও আইন মানি না। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ে।

মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ আগে খতিয়ে দেখা উচিত। সবচেয়ে বেশি সচেতনতার অভাব।

তিনি বলেন, অদক্ষ ও অসচেতন চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাদ দেওয়া, চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা, অনিরাপদ ও ভঙ্গুর সড়ক, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, পুলিশের গাফিলতি, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এমন অনেক কারণ আছে।

মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কিছু দায়িত্ব আছে। আপনারও কারণ খুঁজে বের করেন। সেগুলো আমাদের দিন। আমরাও কাজ করছি। ঢাকাকে যানজট মুক্তসহ কীভাবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যাওয়া যায় তার চেষ্টা হচ্ছে।  


   আরও সংবাদ