ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ মে, ২০২৪ ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০১ বার
কুমিল্লা: চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) এ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন চান্দিনা উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
নির্বাচন স্থগিত সম্পর্কিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রিট পিটিশন নং ৫৩২০/২০২৪-এর আলোকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালনের সুবিধার্থে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এ বিষয়টি উল্লেখ করে সোমবার একটি গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
গত ১২ মে দুপুরে চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ের দিন যাচাইয়ের সময় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী শাহ সেলিম প্রধান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকা ও হাইকোর্টের রিটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কথা জানিয়ে তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করেন রিটার্নিং অফিসার।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত ৭ মে তিনি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৮ মে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বেঞ্চ সেলিম প্রধানের মনোনয়ন গ্রহণ ও নিয়মানুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশনা দিয়ে একটি রায় দেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিট পিটিশনের জবাব দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহ্ সেলিম প্রধানসহ চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে সেলিম প্রধানের মনোনয়ন সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে অপর ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। চতুর্থ ধাপে আগামী ৬ জুন ওই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।