ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ মে, ২০২৪ ১৭:৩৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০২ বার
ঢাকা: শ্রম আইন সংশোধনে কিছু কিছু বিষয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে শ্রম আইন যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কিছু সাজেশন দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। আমরা শ্রম আইন সংশোধন করছি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এ বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়। সাজেশনগুলো মূলত তারা এই কারণে দিতে চেয়েছিল, যে আইনটি হচ্ছে, সেটি যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্টের সাজেশনগুলো যাতে কমপ্লায়েন্ট হয়, সেই বিষয়ে তাদের বক্তব্য ছিল।
'আইএলওকে যে কো-অপারেশন সরকারের পক্ষ থেকে সেটা আমরা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি। সেজন্যই মূলত আমরা তিন দিন ধরে সেটা (শ্রম আইনের খসড়া) এক্সারসাইজ করেছি। এখানে মূলত কিছু কিছু ইস্যু, যেগুলো আমেন্ডমেন্টে থাকার কথা বলেছেন। '
তিনি বলেন, 'শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু কিছু বিষয়ে এসেছিল যেটি নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সেটি আমি বলেছি নীতি-নির্ধারণ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেটার সিদ্ধান্ত হবে। আমরা গ্রহণ করব কি করব না সেটার সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বিষয় আছে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের বক্তব্য নোট করেছি, তাদের বক্তব্য সেখানে তুলে ধরব। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না হবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেবো। কিছু কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো মনে হয়েছে গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেজন্য এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলবো না। কারণ বিস্তারিত বলতে গেলে হয়ত আমি কোথাও ভুল করব, সেজন্য আমি বলবো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা তিন দিন ধরে তাদের যে বক্তব্য সেটা শুনেছি। প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ ধরনের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, আমার মনে হয় এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি বলেন, আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা যে থ্রেডহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। তারা চায় এটা আরও কমে আসুক। আমরা যে বাস্তবতার কথা বলেছি, আমরা ২০১৭ সালে কমিটমেন্ট দিয়েছিলাম, এটা আমরা গ্রাজুয়ালি নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি। আমার মনে হয় আমাদের উভয়ের পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয়পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে।