ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ জুন, ২০২৪ ১৬:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬৯ বার
মো: আবদুল আলীম: সারা দেশে ইটভাটাগুলোর তান্ডব চলছে। কৃষিজমি দখল করে, জোরপূর্বক কৃষকের জমির মাটির উপরিভাগ কেটে ইটভাটাগুলোতে নিয়ে যাওয়া, ভটাগুলোতে কাঠ পোড়ানো ইত্যাদি অভিযোগের অভাব নেই। ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ ও ২০০১ এর ১৭ নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারায় উল্লেখ আছে আবাদি জমিতে কোন ইট তৈরি করা যাবে না ও ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি ব্যবহার করতে হবে। অথচ প্রচুর সংখ্যক ইটভাটা ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি ব্যবহার না করে কালো ধেঁায়া নির্গত করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। জনবসতির অতি নিকটে ইটভাটা নির্মানের কারণে ভাটার ধেঁায়ায় অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাটার উত্তাপে ও ধেঁায়ার কারণে ফলজ গাছে ফল ধরছে না এবং গাছে আগামড়া রোগ দেখা দিচ্ছে। অনেক ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অতি নিকটে স্থাপন করায় শিক্ষার্থীদেরক্লাসে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ভাটার ধেঁায়ায় শ্রেণীকক্ষ আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। এরপরও ইটভাটাগুলো সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় ভুক্তভোগীদেরশত অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ও উচ্ছেদ করার সর্বপ্রথম দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। অথচ অধিদপ্তরের এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে একাধিবার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এর পরও থামছে না অবৈধ ইটভাটাগুলোর তান্ডব। ঢাকার অতি নিকটস্ত জেলা নারায়নগঞ্জ। এখানে অসংখ্য ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হলেও প্রশাসন নিরব। গোপন তদন্তে জানা গেছে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিন্মলিখিত ইটভাটাগুলো পরিবেশ অিাধদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে:
১। মেসার্স এম এস এ ব্রিকস, দাউদপুর, রুপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। এটির মালিক জহিরুল ইসলাম।
২। মেসার্স এন বি এম ব্রিকস, দাউদপুর, রুপগঞ্জ, নাারায়নগঞ্জ। মালিক মো: জাহাঙ্গীর আলম।
৩। মেসার্স এন বি এম ব্রিকস—২, দাউদপুর, রুপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। মালিকও মো: জাহাঙ্গীর আলম।
৪। মেসার্স এম এইচ ডি ব্রিকস, খৈসারচর, দাউদপুর, রুপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। মালিক হেলাল উদ্দিন।
৫। মেসার্স এম এ বি ব্রিকস, দাউদপুর, রুপগঞ্জ, নসারায়নগঞ্জ। মালিক মো: রফিকুল ইসলাম।
অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে ভুক্তভোগীদের দীর্ঘ দিনের দাবি থাকলেও তা প্রশাসনের কানে পৌছে না ।