ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:৫৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০২ বার
ঢাকা: কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বাংলা ব্লকেডের তৃতীয় দিনের মতো পল্টন ও জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবরোধ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে পল্টন মোড়কে কেন্দ্র করে চারপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে অবরোধ পালন শুরু হওয়ায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন ও জিরো পয়েন্ট মোড়ে শিক্ষার্থীদের গোল হয়ে রাস্তা ব্লক করতে দেখা গেছে। এসময় তাদের কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আবার ফাঁকা রাস্তায় ফুটবলও খেলছেন। বাংলা ব্লকেডের ফলে পল্টন মোড়কে কেন্দ্র করে একদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনগামী রাস্তা, অপর পাশে বিজয়নগর থেকে পল্টনগামী রাস্তায় এবং দৈনিক বাংলা থেকে পল্টনগামী রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
অপরপাশে জিরো পয়েন্ট মোড়েও শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকড করে রাস্তা অবরোধ তৈরি করেছে। এর ফলে সচিবালয় থেকে জিরো পয়েন্টগামী রাস্তা, গোলাপশাহ থেকে জিরোপয়েন্ট রাস্তা এবং স্টেডিয়াম থেকে জিরো পয়েন্টগামী রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কোনো ধরনের যানবাহন এই রাস্তাগুলো দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে অ্যাম্বুল্যান্সসহ রোগী পরিবহনকারী যানবাহনগুলো চলাচল করতে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকারী, উপস্থিত পুলিশ এবং জনসাধারণ থেকে চাঁদা তুলে শিক্ষার্থীদের জন্য পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করছেন কিছু স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। জ্যামে বসে না থেকে বেশিরভাগ মানুষই হেঁটে চলাচল করেন।
জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টন মোড়ে আসার পথে বাংলা ব্লকেডের মাঝে পরে রাস্তায় বসে আছে ভিক্টোর ক্লাসিকের একটি বাস। কথা হলে এই বাসের ড্রাইভার জীবন মিয়া বলেন, সকাল ১১টা থেকে এখানে আটকে আছি। আমার বাসটি যখন জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টন মোড়ে আসে তখনই শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আরেকটু পরে যদি বন্ধ করত তাহলে বাস নিয়ে এতক্ষণে চলে যেতে পারতাম। এখন পেছনে যাওয়ারও উপায় নেই। এই ব্লক না সরা পর্যন্ত এখানেই বসে থাকতে হবে।
মৌচাক থেকে হাঁটতে শুরু করে পল্টন মোড় পর্যন্ত এসেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকরিজীবী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি মৌচাক থেকে হেঁটে এসেছি, যাব মতিঝিল। আমার কষ্ট হচ্ছে সত্যি কিন্তু আমি এই আন্দোলনের পক্ষে। আমাদের সাময়িক অসুবিধা হলেও এটা পুরা জাতির জন্য ভালো।