ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ভিপি নুরের আদালত অবমাননা রায় পেছাল

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১১ জুলাই, ২০২৪ ১৩:১০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৪ বার


ভিপি নুরের আদালত অবমাননা রায় পেছাল

ঢাকা: বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা নিয়ে জারি করা রুলের রায় পিছিয়েছে।

তার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর অসুস্থতার কারণে সময় আবেদন করায় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন পিছিয়ে ১ আগস্ট দিন রেখেছেন।

 

আদালতে নুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন অসুস্থ। তিনি এ মামলায় আরও সাবমিশন রাখবেন। এজন্য দুই সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত রায়ের জন্য ১ আগস্ট দিন রেখেছেন।

এর আগে ৩ জুলাই রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য ১১ জুলাই দিন রেখেছিলেন।

ওইদিন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তার বক্তব্যের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নুরুল হক নুর। পরে হলফনামার মাধ্যমেও নুরুল হক নুর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যখন পাবলিকলি বক্তব্যে দেবেন তখন আদালতের বিষয়ে কথা বলতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এটি আজকেও আমরা বলেছি এবং এটির ওপর বহাল আছি। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১১ জুলাই রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।  

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ এবং সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ। সেদিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ওই সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ প্রতিবেদন নজরে আসার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করে নুরকে তলব করেন। সে অনুসারে ১৭ জানুয়ারি নুর হাইকোর্টে হাজির হন।

আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য নুরের আইনজীবী সময় চান। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। এরপর আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন। ওই দিন হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন নুরুল হক নুর। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি শেষ হয়।


   আরও সংবাদ