ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩ অগাস্ট, ২০২৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০০ বার
মাগুরা: চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে মাগুরায় গ্রাফিতি ও দেয়াললিখনের অভিযোগে আটক চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে ভিন্ন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত ২৯ জুলাই বিকেলে জেলা শহরের কলেজ রোডে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনের সময় তাদের আটক করে পুলিশ।
অন্য একজন শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় ৩০ জুলাই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
কারাগারে পাঠানো তিন শিক্ষার্থী হলেন- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান (২১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান (২১) ও ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সানি (২১)। তাদের সবার বাড়ি মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায়। তাদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সিয়াম বিন আইয়ুব নামে আরেক শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটক ছাত্রদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা বলেনি পুলিশ। তবে এসব শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তারা সবাই মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বন্ধু। অবিলম্বে তিন শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ১ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা শহরের জজ কোর্ট এলাকায় ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদের স্মরণে দেশাত্মবোধক গান গাইছিলাম। আমাদের সঙ্গে ছিল না কোনো ব্যানার, প্ল্যাকার্ড। আমরা কোনো স্লোগান দেইনি। কিন্তু সেখানে পুলিশ এসে আমাদের সরিয়ে দেয়। এবং ফেরার পথে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে দুজন শিক্ষার্থীকে ধাওয়া করে।
এই শিক্ষার্থী আর বলেন, মাগুরাতে কোনো বড় সংঘর্ষ বা ভাঙচুর না হলেও একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ বর্তমানে তিনটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মাগুরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেহেদী রাসেল বলেন, গত ১৮ জুলাই শহরের ভায়না এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৯ জুলাই সদর থানা একটি মামলা করে পুলিশ। ওই হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।