ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ অগাস্ট, ২০২৪ ১৫:২৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৫ বার
ঢাকা: শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথমবার অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আজকে মন্ত্রণালয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট রয়েছে। আমরা এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে একটা ম্যাসাকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। সহস্র-হাজার শিক্ষার্থী মারা গেছে, আমরা মনে করি তিনি এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করছি।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন জাতীয়ভাবে আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশ ভেন্যু হওয়ার ক্ষেত্রে হুমকির মুখে আছে। এ বিষয়ে আমরা বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়ে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। ইস্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সিকিউরিটি নিশ্চিতে স্টেট লেভেল থেকে কিছু কাজ করার আছে। আমি এ বিষয়ে যমুনায় গিয়ে ইউনূস স্যারের সঙ্গে কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহযোগিতা করবেন। স্টেট লেভেল থেকে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। সেটি যাতে সমাধান করা যায় জাতিসংঘের সঙ্গেও আমরা কথা বলব।
তিনি বলেন, অবকাঠামাগত কিছু উন্নয়নের ব্যাপার আছে মাননীয় সচিব সে বিষয়ে আমাকে নিশ্চিত করেছেন, সেগুলো সম্পন্ন হবে এর মধ্যেই।
উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু বিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেশন। সিদ্ধান্তটা আমরা দিতে পারবো না। তাদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতে পারব, তাদেরকে পরামর্শ দিতে পারব। বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। আমরা বিসিবির পরিচালকদের অনুরোধ করেছি, তারা আইসিসির লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে সমস্যাটি কিভাবে সমাধান করতে পারেন, বিসিবি সভাপতি হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ করা যায় কিনা, তারা পরবর্তীতে এ বিষয়ের রিপোর্ট করবেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা পুরো দেশকে ঢেলে সাজাতে চাই। ব্যক্তির জায়গা থেকে নয় আমরা সিস্টেমটাকে ঢেলে সাজাতে চাই। যাতে যে ব্যক্তি আসুক সিস্টেম ফলো করার মাধ্যমে যে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো যাতে আর কখনো ফিরে আসতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ আমাদের সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। যতদিন প্রয়োজন, আমরা ততদিন থাকবো দায়িত্ব পালন করার জন্য। আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যারা আছেন, তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা কিংবা ক্ষমতায় থাকার অভিলাষটা নেই।
বিভিন্ন স্থানে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সবার প্রতি আমাদের সাজেশন থাকবে, আইনগতভাবেই যাতে সেটা করা হয়। আমাদেরকে অবশ্যই প্রসেস ফলো করতে হবে। সেটা করা না হলে একটা কেওয়াজ সিচুয়েশনের দিকে চলে যাবে।