ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ অগাস্ট, ২০২৪ ১৮:২৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭ বার
ঢাকা: নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে গত সপ্তাহের মতো কাঁচামরিচ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। দাম বাড়তি থাকার কারণে অনেক কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার তরকারি বিক্রেতা মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ১ পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ কিনে এনে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেও চালান থাকে না। আর বেশির ভাগ ক্রেতা ১০ থেকে ২০ টাকার কাঁচামরিচ কিনতে আসেন। এতে করে লাভ হয় না।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীই দাম বাড়তি থাকার কারণে মরিচ বিক্রি করছেন না। আর ১ পাল্লা মরিচ সারা দিনে বিক্রিও হচ্ছে না।
সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহ বাড়ায় এসব বাজারে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৬০ কেজি টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও গাজর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ও আলু কেজিতে ৫ টাকা কমে যথাক্রমে ১২০ ও ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগিও কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চাষের পাঙাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকায়, চাষের কই মাছ ২১০ থেকে ২২০ টাকায়, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৩ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা ও আদা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।