ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ অগাস্ট, ২০২৪ ২১:৪৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৩ বার
রংপুর: রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন - কারারক্ষী মোতালেব হোসেন ও শাহজাহান মিয়া।
শুক্রবার বিকেলে (১৬ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় দায়িত্বরত কারারক্ষী মোতালেব হোসেন ও শাহজাহান মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে সংঘর্ষ ও একজনের নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কারাগারের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কোনো বন্দি চলেও যায়নি। আমার নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি পুরো ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ফের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে বিপুল পরিমাণ সেনা সদস্য, র্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এক কয়েদির আমড়া পাড়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিসি মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, আজ সকালে কারাগারে থাকা যাবজ্জীবন মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বাহারুল বাদশা গাছের আমড়া পাড়তে গেলে অপর কয়েকজন কয়েদি বাঁধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে কয়েদি বাহারুল বাদশার মাথায় খড়ি দিয়ে আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১২টায় একই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারুলের আপন তিন ভাইয়ের সাথে ঝগড়া শুরু হয় অন্যান্য কয়েদির। এক পর্যায়ে ঘটনা গড়ায় সংঘর্ষে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুর রহমান, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু বক্কর সিদ্দিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনা তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বন্দিদের।
কারাগারঘেঁষা পাড়া-মহল্লায় বাসিন্দারা বলছেন, সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। এ সময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। দুপুরে বন্দুকের গুলির বিকট শব্দ শোনা যায়। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হয়। সবার মধ্যে একটা আতঙ্কের দেখা দেয়।
এদিকে, সকাল থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারাগারের ভেতরে এবং বাইরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক আছে প্রশাসন।