ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ অগাস্ট, ২০২৪ ০৯:২২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২ বার
রাজশাহী: রাজশাহীতে গুলিবিদ্ধ ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হানের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী রানা ইসলামের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহীর সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারে মোট ৫০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক। তবে তাদের গ্রেপ্তারে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, তার ছোট ভাই জেডু সরকার, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, যুবলীগকর্মী জহিরুল হক রুবেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজীব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবীন সবুজ, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল গালিব ও সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নাম রয়েছে।
এছাড়া দায়েরকৃত মামলার এজাহারে আসামিদের তালিকায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহদাৎ হোসেন শাহু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব উদ্দীন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ নিযাম-উল-আযীম ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, নগর যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজার নাম রয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের আগে রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান।
এরপর গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন রাজশাহী কলেজ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পড়ান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।