ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

লালমনিরহাটের ৩ এমপিসহ ১২৮ জনের নামে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ অগাস্ট, ২০২৪ ১২:১৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬ বার


লালমনিরহাটের ৩ এমপিসহ ১২৮ জনের নামে মামলা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিনজন সাবেক সংসদ সদস্য ও দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৮জনের নামে ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের মৃত খোকা শেখের ছেলে সহিদুল ইসলাম।

 

 

মামলায় আলোচিত আসামিরা হলেন- লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সম্পাদক ও লালমনিরহাট ৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু,পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এমপি মোতাহারের ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক/দুইশ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়- শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারড়ুবি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলামকে চাপ প্রয়োগ করেন আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৬ জন নেতাকর্মী। দমন না করলে সুজন ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।  

তাদের অব্যাহত চাপে গত ৩০ জুলাই বাড়ি থেকে ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইলের ভাড়া বাসায় চলে যান সুজন ইসলাম। সেখান থেকে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্যদের সঙ্গে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে যোগদান করেন সুজন ইসলাম। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুজন ইসলাম গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই তার মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী সুজন ইসলামের বাবা সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে প্রধান করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত এক/দুইশ জনের নামে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

ঢাকা আশুলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


   আরও সংবাদ