ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

আদিলুর-এলানের দণ্ড বাতিল

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ অগাস্ট, ২০২৪ ১৩:৪৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৪ বার


আদিলুর-এলানের দণ্ড বাতিল

ঢাকা: মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।  

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি আবদুর রবের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

আদিলুর রহমান খান বর্তমানে শিল্প উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া।

এ মামলায় গত বছরের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতে দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন দিয়েছিলেন।

এক দশক আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে হওয়া মামলায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন। দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।

ওই বছরের ১০ জুলাই নিহতের তালিকা চেয়ে অধিকারকে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সংগঠনটি তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ১০ আগস্ট গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। জিডির পর ওইদিনই গ্রেপ্তার হন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। ওই বছরের ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আদিলুর ও এলানের নামে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামি এলানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত আদেশের পর উচ্চ আদালতে মামলা বাতিল চাইলে উচ্চ আদালতের আদেশে বিচারকাজ স্থগিত হয়ে যায়।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য শুরুর দুই বছরের ব্যবধানে বিচার শেষে মামলাটিতে রায় ঘোষণা করা হয়।


   আরও সংবাদ