ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট, ২০২৪ ১৮:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭০ বার
সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি : দেশে কোঠা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী কঠোর ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি আওয়ামী সহযোগি নামধারী সাংবাদিকরা নিজেদেরকে জনচক্ষুর আড়ালে রেখে চলাফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সাপাহার উপজেলার কতিপয় নামসর্বস্ব আওয়ামী নামধারী সাংবাদিক এখনো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দাপট দেখিয় চলা ফেরার পয়তারা করছে।
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে সাপাহার প্রেসক্লাবকে ওই আওয়ামী নামধারী সাংবাদিকরা তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করে আওয়ামী দু:শাসনের সময় এখানকার পেশাদার মুলধারার সাংবাদিকদের সুস্থ্য সাংবাদিকতার ওপর খবরদারির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল এবং কেউ নিজকে তৎকালীন মন্ত্রী এমপির ভাই ভাতিজা বলে পরিচয় দিয়ে সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এমনকি সাধারণ মানুষকেও জিম্মি করে চাঁদাবাজী করে আসছিলো।
তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ ফেসবুকে আওয়ামী বিরোধী কোন কথাবার্তা বা কোন পোষ্ট দেখলেই সে ওই পোষ্ট বা কমান্ড দাদাবাবুকে দেখাবে বলে স্কিন শর্ট দিয়ে রাখত। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন সদস্যপদ বঞ্চিত সুস্থ্যধারার সাংবাদিকরা এ সকল মুখচেনা দালাল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এখন সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
এরই কর্মসূচী হিসেবে সাপাহার প্রেসক্লাবের মুলধারার সাংবাদিকগন শনিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হয়।
সভায় বিভিন্ন সাংবাদিকদের ক্ষোভ মিশ্রিত বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, সাপাহারে মুলধারার কর্মরত সাংবাদিকরা আওয়ামী দু:সাশসনের সময় দীর্ঘদিন নানাভাবে নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
সারা দেশের ন্যায় সাপাহারেও সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকে নিজেদের মত করে ব্যবহার করেছে, সত্য প্রকাশ করতে গেলে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে । সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে দেশে বহু সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা নামের একটি কালো আইন দ্বারা শতশত সাংবাদিককে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সেই সরকারের পতনের পর সকল গনমাধ্যম কর্মীরা এখন মনখুলে সংবাদ প্রকাশ করতে পারছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর সাপাহার প্রেসক্লাব এখন সৈরাচার চাঁদাবাজ মুক্ত পেশাদার সাংবাদিকদের হাতে সুরক্ষিত।
প্রেসক্লাবের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য এখনি সেই সব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। চিহ্নিত দালাল এবং অর্থ লুটতরাজকারীদের সদস্যপদ বাতিল করে তাদেরকে প্রেসক্লাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার জোর দাবিও উঠে জরুরি সভায়। সেই সাথে পেশাদার সাংবাদিক যারা এখনো প্রেসক্লাবের সদস্য হতে পারেননি তাদের দ্রæত সময়ের মধ্যে সদস্য পদ প্রদানের অনুরোধ উঠেছে।
অপর দিকে বিগত ১৫ বছর ধরে পূর্বের আওয়ামী সরকারের পা চাটা সাংবাদিকদের কারণে অনেক সরকারি অফিস পেশাদার সাংবাদিকদের মুল্যায়ন বিজ্ঞাপন প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছে। সরকারী বে-সরকারী সেই সব অফিসগুলোতে প্রথম সারির বিবেচনাক্রম অনুসরণ করে পত্রিকার সাংবাদিকদের একটি তালিকা তৈরি করে নিজ নিজ নাম সীল সাইন করে অফিসগুলোতে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া সুস্থ্যধারার সাংবাদিকগনের পক্ষ থেকে এসব চিহিৃত আওয়ামী নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও সবস্তরের জনসাধারণ এবং দেশে চলমান সকল রাজনৈতিক দল সমূহের সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।
এ সময় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আহবায়ক তছলিম উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক বাবুল আকতার ও মনোয়ারুল ইসলাম সহ প্রেসক্লাবের মুলধারার সকল সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
বাবুল আকতার,সাপাহার( নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ ০১৭১৬৭২৬৭৪৬
২৪আগষ্ট/২০২৪ইং