ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট, ২০২৪ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬২ বার
ঢাকা: বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্রজনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।
বাংলাদেশের জনগণ বোঝে যড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত ছয়টি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল পরিবারগুলোর সঙ্গে আলাদা দেখা করে তাদের খোঁজ খবর নেন। তাদের আর্থিক সহায়তাও দেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেভাবে এদেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার ও হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে। এদেশের মাটিতে আর কোনো এরকম স্বৈরাচারের স্থান নাই। আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৬ ছাত্র- আমিনুল ইসলাম হৃদয়, শাহরিয়ার হোসেন আলভী, মো. সানি, সাব্বির হোসেন রনি, জুলফিকার আহমেদ সাকিল, লিটন হোসেন লাল্লুর বাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেন। তিনি বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের পাশে রয়েছেন। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে থাকবো এবং আপনাদের জন্য যা যা করণীয় সবকিছু করবো।
এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা তুলে দেন আমিনুল। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, আনিসুর রহমান আনিস, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, পল্লবী ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনসহ স্থানীয় বিএনপি ও সব অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।