ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট, ২০২৪ ১৫:৩১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৯৪৭ বার
ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ আস্থাবাজন, পলিসি মেকার একান্ত সচিব, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খানের নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এর পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে চিঠি।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এর বর্তমান পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্থ শেয়ারহোল্ডার ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একজন সাবেক কর্মকর্তা আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, পিকে হালদার গংদের আত্মসাৎ করা ২৫০০ কোটি টাকার মধ্যে অর্থ আদায়ের পরিমাণ একেবারেই শূন্য, পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট ঋণের ফাইলে বিলম্বিত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ , কতিপয় ব্যক্তিবর্গকে বিশেষ সুবিধা প্রদান। শুধুমাত্র পিকে হালদারের ১১০ কোটি টাকার কুমিরের খামার পাতানো নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি বাবদ মাত্র ৩৮.২০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
খামারে ৪০০০ কুমিরের স্থলে ২৫০০ কুমির আছে বলে সংখ্যা কমিয়ে খামারের প্রকৃত মুল্য গোপন করে পাতানো নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এন আই খান কে কম মূল্যে ক্রয় করতে সহযোগিতা করেছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
এই বিষয়ে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন বিক্রেতা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ক্রেতা উদ্দীপন এনজিও উভয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এন আই খান, যেখানে ঈড়হভষরপঃ ড়ভ রহঃবৎবংঃ জড়িত এবং যাহা গড়ৎধষষু ঊঃযরপধষষু ডৎড়হম অর্থাৎ রক্ষকই যখন ভক্ষক ।
এছাড়াও ১০৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপীর মামলায় উদ্দীপন এনজিওর সাবেক চেয়ারম্যান পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাবাজন ড. মিহির ক্রান্তি মজুমদারকে অব্যহতি দেওয়া, কর্মরত কর্মকর্তাদের ছাত্রলীগ দিয়ে পেঠানোর হুমকি ও সোডা দিয়ে ধৌত করার হুমকি, পিকে হালদারের ৮০০০ মুরগী বিক্রি বাবদ ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, আমানতকারীদের অর্থ ফেরৎ না দিয়ে বড় অংকের ঋণ অনুমোদন , ঋণ পরিশোধের পূর্বেই সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীর আলম নামক খেলাপী ঋণ গ্রহীতাকে দায়মুক্তি, আনান ক্যামিকেল লিঃ নামক প্রতিষ্ঠান কে ১৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের অপচেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম কে অডিট কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান ও ভীতিপ্রদর্শন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা, বিধি বহির্ভূতভাবে এন আই খানের সহযোগীদের পদোন্নতি ও অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধি ও সিটি ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিমকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে লিখিত এজেন্ডা প্রণয়ন, যোগ্য কর্মকর্তাদের শোকজ, সাময়িক বরখাস্ত, অযোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগ, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণে দুর্নীতি, শিবালয়ে বিলাশবহুল বাংলোবাড়ি ও জমি ক্রয়, উত্তরায় ১০ তলা বাড়ি সহ শতকোটি টাকা তুরস্কে পাচার, তদবির বাণিজ্য এবং সদ্য শোকজকৃত ডিএমডি মশিউর রহমানের দুর্নীতির বিচারে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ করা হয়।
আবেদনে মহামান্য হাইকোর্টে যাবতীয় তথ্য পেশ করে এন আই খানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ বিলুপ্ত করে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নতুন পর্ষদ গঠন করে ক্ষতিগ্রস্থ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।