ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী আটক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৯ বার


হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী আটক

ঢাকা: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা।

 

গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার ও ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনারের দায়িত্বেও ছিলেন কাফী। তখন থেকেই তিনি বেপরোয়া ছিলেন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের বন্ধু পরিচয় দিয়ে তিনি প্রভাব বিস্তার করতেন। তাকে পুলিশের মধ্যে অনেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার হিসেবেও চিনতেন। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র কর্মকর্তা হয়েও সিনিয়রদের উপর খবরদারি করার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।

বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীরা গত ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। পরে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয় ।

সাভার ও আশুলিয়ায় গত ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সারা দিন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে ধারণ করা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে একটি লাশ নিক্ষেপ করছেন। এর আগেই ভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা মেলে।

ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার আশপাশে। পুলিশ লাশগুলো তাদের থানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পুলিশভ্যানে লাশগুলো রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।


   আরও সংবাদ