ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:১৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭ বার
ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত আনতে যুক্তরাজ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিল্প উপদেষ্টার নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চান শিল্প উপদেষ্টা। এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেমস গোল্ডম্যান।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপ-হাইকমিশনারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চতর অবস্থায় উত্তরণ করা সম্ভব।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এ সময় বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় শিল্প উপদেষ্টার দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে ১৯৮০ সালের ১৯ জুন একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি চুক্তিটি হালনাগাদ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া চামড়া, চিনি, জাহাজ পুনঃ প্রক্রিয়াকরণ, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পরিবেশ ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে যুক্তরাজ্যকে আরও বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। এসএমইর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে যুক্তরাজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে এবং বিশেষায়িত দল গঠনের মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশ থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত প্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।