আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫ বার
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, বলে দাবি করছে ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
হামলা চালানোর পর দ্বিতীয় বিবৃতিতে আইআরজিসি লিখে, 'ইসলামিক উম্মাহ, অসাধারণ প্রতিরোধ ফ্রন্ট ও ইসলামিক ইরানের সাধারণ জনগণ। ইসলামিক রিপাবলিকের কর্মকর্তা ও সামরিক কমান্ডাররা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে অনুযায়ী অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতায় পূর্বের ঘোষণামতো আইআরজিসিতে থাকা আপনার সন্তানেরা আল্লাহ রাসুল (সা.) এর নামে "অপারেশন ওয়াদে সাদিক-২" বাস্তবায়ন করেছে। '
'এই অভিযানে দখলকৃত ভূখণ্ডে তাদের (ইসরায়েল) গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে (যেখানে হামলার কৌশল করা হয়) ইরানের সন্তানেরা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে। কিছু বিমান ও রাডার ঘাঁটি, ষড়যন্ত্র রটানোর কেন্দ্র ও প্রতিরোধের নেতা বিশেষ করে ডাক্তার ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ লেবাননের নেতা শহীদ হাসান নাসরুল্লাহ, ফিলিস্তিন ও আইআরজিসি কমান্ডারদের হত্যার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে হামলা করা হয়েছে। সবচেয়ে উন্নত এবং আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেই অঞ্চলে ৯০ শতাংশ মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও কর্মক্ষমতা দেখে জায়োনিস্ট শাসন ভীত হয়ে পড়েছে। '
'এই অভিযান আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। শত্রুপক্ষ কোনো বোকামি করলে, সেটার জবাব আরও কঠিন ও বিধ্বংসী হবে। '
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, আজ রাতের হামলা ইরানের সামর্থ্যের ‘ঝলক’ মাত্র। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না।
লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। মঙ্গলবার তেল আবিবের উদ্দেশে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর লেবাননে স্থল আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান।