আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪ বার
ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন তেহরানে বিস্ফোরণের যে শব্দ শুনা গেছে তা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ড্রোন ধ্বংস করার শব্দ। তারা জানান, আমরা নিশ্চিত করতে পারি ইসরায়েলি হামালার মধ্যে বেশিরভাগই ড্রোন হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা নয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি ইরনা জানিয়েছে, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরান প্রদেশের আশেপাশের আকাশসীমায় ইসরায়েলি ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে ইসরায়েলি ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরানি কর্মকর্তারা কোনো হতাহতের কোনো খবর দেননি, তারা বলছেন এই হামলা যে কোনো মূল্যায়নে সামরিক পরিসরে অর্থবহ কোনো আঘাত করেনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ড্রোন গুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে? ইসরাইল নাকি অন্য কোথাও থেকে?
কারণ যে ধরনের ড্রোন এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে সেসব ড্রোন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম নয়।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইরানের উপর ইসরায়েলি হামলা আরও কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
সূত্রটি জানিয়েছে যে সামরিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র।
ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের উপর ইসরায়েলের আক্রমণের জবাব দিতে তারা প্রস্তুত। ইরানি রেভ্যুলশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই ইসরায়েল তার কৃতকর্মের যথাযত প্রতিক্রিয়া পাবে।
এদিকে কাতারি সংবাসমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানে যখন হামলা হচ্ছিল, তখন তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাংকার) ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। অপরদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলভিশন জানিয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাকে জানিয়েছে জানিয়েছে, মধ্য ও দক্ষিণ সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।