নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫০৯ বার
আকমাল হোসেন, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলার কৃঞ্চপুর ইউপির বেলঘরিয়া গ্রামের জনৈক খোরশেদ আলমের বাগানে নিষেধ করা সর্ত্বেও একই এলাকার সুরুজ্জামানের ছাগল বারবার গাছ খেলে ছাগলটিকে পার্শ্ববতি উপজেলার খোয়াড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সুরুজ্জামান ও তার লোকজনের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থানায় কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে সুরুজ্জামান ও তার লোকজনের হুমকিতে খোরশেদ আলম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বলে তিনি জানান।
মামলার বিবরনিতে জানা গেছে, উপজেলার কৃঞ্চপুর ইউপির বেলঘরিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র খোরশেদ আলমের বাগানে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় একই গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সুরুজ্জামানের (৪৫) একটি ছাগল গাছ খেলে খোরশেদ ছাগলটিকে পার্শ্ববতি উপজেলার খোয়াড়ে দেন। এতে সুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে একইদিন তার ভাই ও সঙ্গপ্রাঙ্গকে নিয়ে খোরশেদকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। খোরশেদ আলম এতে আতংকিত হয়ে পরের দিন ২০ ফেব্রুয়ারী পত্নীতলা থানায় সুরুজ্জামান তার ভাই ছারোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র আরিফ হোসেন ও মোজ্জাম্মেল হকের পুত্র বেলাল হোসেন এর বিরুদ্ধে ৮৫৫নং সাধারণ ডায়েরী দায়ের করে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী বিকালে খোরশেদ আলম তার চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা সদর নজিপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাহিরে বের হলে মৃত মানিক মন্ডলের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ও তার দুই পুত্র আরিফ হোসেন ও জাহিদ হাসান পথরোধ করে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় খোরশেদ আলম ও তার চাচাতো ভাই প্রাণনাশের আশংখায় মোটরসইকেল রেখে চিৎকার দিয়ে বাড়ি পৌছালে জাহাঙ্গীর আলম ও তার পুত্রদ্বয় ঘটনাস্খল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন খোরশেদ আলমকে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী আদালতে জাহাঙ্গীর আলম ও তার দুই পুত্রের নাম উল্লেখ্য পূর্বক একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই উক্ত সুরুজ্জামান স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগীতার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার লোকজন নানা ভাবে তার পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে বলে খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কৃঞ্চপুর ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি তিনি মিমাংসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে সুরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।