ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২ বার
নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ইব্রাহিম মাসুম (২৭) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যু্গ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিলেন। এসময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক সেবীকে মারধর করতে উদ্যত হন। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানায় বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দিবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর শুরু করে। এরপর তিনি একটি ফার্মেসি দোকানে যায়। পরে কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা একটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর মাসুমের বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমি শুনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক আগে তিনি ছাত্রদল করতেন। গত ছয় মাস আগে জামায়াতে যোগদান করেন তিনি। এজন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি জানি না।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।