ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এবার সরাসরি অমিত শাহের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:৫৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২ বার


এবার সরাসরি অমিত শাহের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কানাডার অভ্যন্তরে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে কানাডার সরকার।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন কানাডার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন।

 

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সংসদ সদস্যদের ডেভিড মরিসন বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টকে ওই চক্রান্তের পেছনে অমিত শাহ আছেন বলে জানিয়েছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে মরিসন আরও বলেন, ‘ওই সাংবাদিক আমাকে কল করে প্রশ্ন করেন, এই ব্যক্তি (অমিত শাহ) কিনা? আমি নিশ্চিত করি, তিনিই এই ব্যক্তি’।

তবে ডেভিড মরিসন অভিযোগে অমিত শাহের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কানাডা কীভাবে জানতে পেরেছে, তা উল্লেখ করেননি।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর কর্মকর্তার নির্দেশে খালিস্তানপন্থি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বছর আগে বলেছিলেন, কানাডার কাছে ২০২৩ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষও বারবার বলেছে, তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হত্যার প্রমাণ তুলে ধরেছে।

হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত—চলতি মাসের মাঝামাঝিতে কানাডার এমন অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে ফের কূটনীতিক সম্পর্কে উত্তেজনা শুরু হয়।

ভারত সরকার কানাডার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে দেশটি থেকে তার কূটনীতিক ও অন্য কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ভারতের পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টা পর কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী প্রমাণ পেয়েছে যে, ভারতীয় প্রতিনিধিরা এমন সব কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন, যা কানাডার মানুষের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

এরপর ছয়জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার কথা জানায় অটোয়া। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে পাল্টা ছয় কানাডীয় কূটনীতিককে দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় নয়াদিল্লি।


   আরও সংবাদ