ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১ বার
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর রিপাবলিকান পার্টি বা ডেমোক্রেটিক পার্টি—যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে না। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা ‘ধীরগতি’ আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ।
নির্বাচনের ফলাফলে এখন পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্প জিতলে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে কেমন প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে বুধবার (৬ নভেম্বর) সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে না। যদিও ডেমোক্রেটিক দলের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক একটু বেশি গভীর। সেজন্য ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা ধীরগতির হতে পারে। তবে বড় ধরনের তারতম্য ঘটবে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কেমন প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পদক্ষেপ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার সুবিধা হতে পারে। তবে কমলা হ্যারিস জিতলে ওই যুদ্ধ বিরতির জন্য পদক্ষেপ নাও নিতে পারেন।
এ নির্বাচনের পর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, নির্বাচনের পর যে দলই জিতুক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সঙ্কট নিরসনে খুব একটা ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায় না। কেননা ইসরায়েল নীতিতে দুই দলের অবস্থান প্রায় একই।
নির্বাচনের পর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক চালিয়ে গেছে ঠিকই, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের ওপর নানা রাজনৈতিক চাপ ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে চীনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কিছুটা কমতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে। নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৬৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাম্পের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
নির্বাচনে জয়ী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে।